গাইবান্ধায় হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনেও জরুরি ও বহির্বিভাগ বন্ধ .
আপডেটঃ ৪:৪০ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনেও জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকগণ। জেলা সদর হাসপাতালে হাসিবুর রহমান নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করার অভিযোগ উঠে হাসপাতাল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ আমলে না নিয়ে এবার উল্টো রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে দ্বিতীয় দিনেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগিরা চিকিৎসা নিতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সেবা নিতে আসা অনেক মুমূর্ষু রোগি চিকিৎসা না পেয়ে অন্য হাসপাতালে ফিরে যেতে হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ করছে। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ভুল চিকিৎসায় হাসিবুর রহমান (১১) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নিহত ছাত্রের স্বজনদের অভিযোগ এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের অন্যলোক দিয়ে মারপিট করে হাসপাতাল থেকে বের করা দেয় চিকিৎসক ও নার্সরা। নিহত হাসিবুর রহমানের মা হাজেরা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ডা সুজন পাল হাসপাতালে ভর্তি করান। পরবর্তীতে হাসিবুরের শরীরে একটি ইনজেকশন দেয়। ইনজেকশন দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে নাক ও মুখদিয়ে রক্ত আসতে শুরু করে। কিছু বুঝে উঠার আগে হাসিবুর মারা যায়।