এস এস সি পরিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়
আপডেটঃ ৩:০৪ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৮, ২০১৬

এ রউফ পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃচ্যানেল সেভেন বিডি: পঞ্চগড় জেলার উপজেলা আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এস এস সির পরিক্ষার্থীদের কাছে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড কতৃক ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা আদায় করাতে হিমশিম খাচ্ছেন গরীব শিক্ষার্থীরা। সল্প আয়ের রোজগার বিদ্যালয়ের এস এস সির ফরম পূরণে সাদ্ধ্যের মধ্যে ফি না হওয়াতে বিপাকে পড়েছে অভিভাবকগন। ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা যায় ২০১৭ সালের বোর্ড কতৃক এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য, নিয়মিত পরিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফি প্রতি পত্র ৮০/- টাকা, ব্যবহারিক ৩০/-টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৩৫/- টাকা, মূল সনদ ফি ১০০/-টাকা, স্কাউট ফি ১৫;/-টাকা, শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫/- টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০/-টাকা নির্ধারন রয়েছ। বোর্ড কতৃক ফির পরিমান দ্বারায় ১ হাজার ৫০০ টাকা খেকে ১হাজার ৮০০টাকা হলেও পঞ্চগড় জেলার উপজেলা আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তার চেয়ে প্রায় ১হাজার টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ফরম পূরণের জন্য টাকা নেওয়া হলেও কোন প্রকার রশিদ দেওয়া হচ্ছেনা বলে জানান তারা। ওই বিদ্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের এসএসসির ফরম পূরণ জন্য মানবিক বিভাগ ২ হাজার ৫০০/-টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগ ২হাজার ৬০০/-টাকা আদায় করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক তিনি জানান একসঙ্গে এতগুলো টাকা খুবে কষ্টকর। শিক্ষকদের বলতে গেলে তারা জানান বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী টাকা নেওয়া হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে ওই অভিভাবক মানুষের কাছ থেকে ধান দেনা করে সন্তানের ফরম পূরণের টাকা দিতে হচ্ছ। এ বিষয়ে মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগের কথা জানালে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকার অভিযোগ অশিকার করেন। আরো কিছু প্রশ্ন করলে তিনি জানান শিক্ষার্থীদের সেশন ফি বেতন যাদের বকেয়া রহিয়াছে তাদের টাকা নেয়া হয়। এসএসসির শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা নিয়ে রশিদের কথা তুললে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। একই অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলা হাজী ছফির উদ্দীন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিরুদ্ধে। তারাও এস এস সির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফরম পূরণ করতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে ২৮০০/টাকা থেকে ২৯০০/-টাকা যাহা বোর্ড ফির চাইতে দ্বিগ্রন। বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুর নাহার শিল্পীর কাছে জানতে চাইলে কোন প্রকার সদুত্তর দেননি। এ বিষয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার ঘোষ তিনি জানান আমরা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি বাড়তি কোন টাকা নিতে পারবে না। এটা বে-আইনি।কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অভিযোগ দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।